নারীর আর্থসামাজিক ক্ষমতায়ন: ক্ষুদ্রঋণ ও জলবায়ু সহনশীলতায় গোলটেবিল বৈঠক

একটি গোলটেবিল বৈঠকে বিভিন্ন বয়সের নারী ও পুরুষ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন, যেখানে 'নারীর ক্ষমতায়ন' সম্পর্কিত ব্যানার দেখা যাচ্ছে।


ঢাকা, June 15, 2025 —

নারীর আর্থসামাজিক ক্ষমতায়ন: ক্ষুদ্রঋণ ও জলবায়ু সহনশীলতায় গোলটেবিল বৈঠক

নারীর আর্থসামাজিক ক্ষমতায়ন ও অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে ক্ষুদ্রঋণ এবং জলবায়ু সহনশীলতা কিভাবে নারীর জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বিশেষজ্ঞরা মতামত দেন যে, এই দুটি ক্ষেত্র নারীর ক্ষমতায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, ক্ষুদ্রঋণ নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। অনেক নারী ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে ছোট ব্যবসা শুরু করে নিজেদের স্বাবলম্বী করেছেন। এর ফলে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে তাদের মর্যাদা বেড়েছে। তবে, শুধু ঋণ দিলেই হবে না, ঋণ ব্যবহারের সঠিক প্রশিক্ষণ এবং বাজারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দিতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা নারীর জীবনকে আরও কঠিন করে তোলে। এই পরিস্থিতিতে নারীদের জলবায়ু সহনশীল করে তোলা অপরিহার্য। বৈঠকে আলোচনা হয়, কিভাবে নারীদের কৃষিক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি শেখানো যায়, দুর্যোগ মোকাবেলায় তাদের নেতৃত্ব দেওয়া যায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও সহায়তা দেওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন কেবল অর্থনৈতিক বিষয়ে সীমাবদ্ধ নয়। এটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়। ক্ষুদ্রঋণ এবং জলবায়ু সহনশীলতার উদ্যোগগুলো যদি সমন্বিতভাবে পরিচালিত হয়, তবে তা নারীর সামগ্রিক ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে।

বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, সরকারি প্রতিনিধি এবং উন্নয়ন সহযোগীরা নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন যে, এই আলোচনা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশগুলো নীতি নির্ধারণে সহায়ক হবে এবং তৃণমূল পর্যায়ে নারীর জীবনমানের পরিবর্তনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post